কক্সবাজার শহরে একটি অপরাধী চক্রের টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। যেখান থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানায় র্যাব। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন, কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার বান্টু দাশের ছেলে উজ্জ্বল দাশ এবং একই এলাকার মৃত বিমল দের ছেলে উৎপল দে, মৃত দুলাল ধরের ছেলে বিধান ধর ও কাজল রুদ্রের ছেলে অন্তর রুদ্র।
কামরুজ্জামান বলেন, শহরের পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ের পরিত্যক্ত একটি ঘরকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে দুর্বৃত্তদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে জিম্মি, অপহরণ, ছিনতাই ও মুক্তিপণ আদায় করার খবর পায় র্যাব।
radhuni
আরও পড়ুন
তাড়াশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনি ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব অপরাধী চক্রটিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে সোমবার মধ্যরাতে অপরাধী চক্রের কতিপয় সদস্যরা আস্তানায় অবস্থান করার খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।
র্যাব সদস্যরা সন্দেহজনক আস্তানাটি ঘিরে ফেললে ৬ থেকে ৭ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আস্তানাটি তল্লাশি চালিয়ে ১টি কিরিচ দা, ৩টি ছুরি, ২টি প্লাস্টিকের লাঠি, একটি লম্বা রশি ও ৩টি চোরাই মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে, কক্সবাজার শহরে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে মোবাইল ও নগদ টাকা লুট এবং জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করত অপরাধী চক্রের সদস্যরা।
তারা পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ বিহারের পাহাড়ের পরিত্যক্ত ওই ঘরটিকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করত। যেখানে জিম্মিদের নির্যাতন চালিয়ে আদায় করত মুক্তিপণ।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান কামরুজ্জামান
পাঠকের মতামত